সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ঘাঘট নদে কাঁঠের সাঁকো। মেরামতের অভাবে নড়বড় করছে। তবুও এটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলছে হাজারও মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন তারা। এসময় চরম আতঙ্কে থাকেন তারা।
সম্প্রতি এমনি এক চিত্র দেখা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্য ও পূর্ব নারায়ণপুর নামক এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই স্থানে প্রায় ৮ বছর আগে এলাকাবাসীর অর্থায়নে এই কাঠের সাঁকোটি স্থাপন করে দুই গ্রামের মানুষ চলাচল করে যাচ্ছে। বর্ষাকালে সাঁকো সংস্কার করতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয় তাদের। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে সাঁকোর দৈর্ঘ্য বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, সাঁকোর এক-তৃতীয়াংশ কাঠ খসে পড়ায় লোকজন কোনোরকমে ইউক্যালিপটাস গাছের খুঁটি বসিয়ে আর বাঁশ বেঁধে পথ সচল রাখার চেষ্টা করছেন। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা বলছেন, এই এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকার পথ অনেকাংশে এই সাঁকোর ওপর নির্ভরশীল। সাঁকোটি শুধু মধ্য ও পূর্ব নারায়ণপুর নয়, আশপাশের খোলাহাটি ও কুপতলা ইউনিয়নের লোকজনও প্রতিদিন ব্যবহার করেন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনের জন্য এটি অপরিহার্য যোগাযোগ পথ।
নজরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, আট বছর আগে স্থানীয়দের তৈরি করা এই সাঁকোটি ছিল বড় এক স্বপ্নের বাস্তবায়ন। কিন্তু খুঁটি, পাটাতন, নাটবল্টু, কাঠমিস্ত্রি সবকিছুর খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় এখন এটি ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বন্যার আগে সংস্কার করতে না পারলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান বলেন, সাঁকোটি গাইবান্ধা শহরের সঙ্গে অন্তত তিনটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সহজ পথ। এর দ্রুত সংস্কার বা পাকা সেতু নির্মাণ জরুরি। এবার যদি বন্যায় সেতুটি ভেঙে যায়, তা হলে পুরো এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান জানান, সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা জেনেছি। আগামীতে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাঁকোটি দ্রুত সংস্কার করে দেওয়া হবে।